Farewell My Concubine(1993) Movie Review in Bangla
Farewell My Concubine (1993)
Director:
Kaige Chen
আমার দেখা অন্যতম একটা সেরা চিনা মুভি। চিনে নির্মিত ভাল মুভির সংখ্যা কম, এ মুভিটা তার ব্যতিক্রম। ১৯৯৩ সালে ‘ফেয়ারওয়েল মাই কংকুবাইন’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘Palme d’Or’ পুরষ্কার পায়। কান উৎসবে চিনের কোন মুভির জন্য সেটাই একমাত্র সর্বোচ্চ পুরষ্কার। পাম দ’ক ছাড়াও মুভিটি ‘বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ মুভি’ ক্যাটেগরিতে গোল্ডেন গ্লোব এওয়ার্ডসহ আরো নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়।
প্রায় তিনঘন্টা দৈর্ঘ্যের এ মুভির কাহিনী বিংশ শতাব্দীর একটা বিশাল অংশ জুড়ে বিস্তৃত। মুভিটি একই শিরোনামের উপন্যাসের চিত্ররূপ। কাহিনীর শুরু ১৯২৪ সাল থেকে, এবং যবনিকা হয় ১৯৭৭ সালে। যার ফলে এতে চিনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের বড় বড় সব উত্থান-পতন উঠে এসেছে। সামন্ত যুগ থেকে শুরু করে চিন-জাপান যুদ্ধ, বিপ্লব, বিপ্লব পরবর্তী সাংস্কৃতিক সংস্কার সব। মুভির কেন্দ্র বিন্দুতে সংস্কৃতি থাকায় বিভিন্ন যুগে পরিবর্তনের ব্যাপারটা ফু্টিয়ে তোলা গেছে।
মুভির মূল ভূমিকায় পিকিং অপেরার দুজন কুশীলব, শিতু এবং দুজি। ঐতিহাসিক নানা উত্থান-পতনের সময়ে তাদের জীবনকে ঘিরে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। নানা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে তারা কীভাবে এ সময়গুলো পার করেছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে তাদের অভিনয় এবং ব্যক্তিজীবনের সুখ-দুঃখ মুভির মূল উপজীব্য।
মুভির কাহিনীতে যাবো না, কিন্তু শিতু এবং দুজি দুজনে যে অপেরায় অভিনয় করে সমগ্র চিনে বিখ্যাত হন, সংক্ষেপে সেটা বলছি। অপেরার নাম ‘ফেয়ারওয়েল মাই কংকুবাইন’, এটি চু আর হ্যান রাজবংশের লড়াইয়ের কাহিনী। চু রাজা ছিলেন বীরপুরুষ, অনেক লড়াইয়ে জিতেছেন।কিন্তু গেইশিয়া’র যুদ্ধে ভাগ্য তার সহায় ছিল না। হ্যান রাজা তাকে কৌশলে পরাজিত করে। যুদ্ধের শুরুতেই হ্যান সৈন্যরা বিজয়ের গান গাওয়া শুরু করে। এতে চু রাজার অনুসারী সামন্তেরা ভাবেন চিনের বাকি অংশ মনে হয় ইতোমধ্যে পরাজিত হয়ে গেছে। তাই তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান। রাজার সাথে থাকে তার একমাত্র ঘোড়া এবং তার একান্ত সহচরী রক্ষিতা। শিতু হ্যান রাজা আর দুজি (পুরুষ) তার রক্ষিতার ভূমিকায় অভিনয় করে। রাজা তাকে চলে যেতে বলে, কিন্তু রক্ষিতা তাকে ছেড়ে যেতে চায় না। এদিকে সময় বুঝে তার ঘোড়াটাও নড়তে চায় না। “No matter how resourceful you are you cannot fight fate.
রাজরক্ষিতা শেষবারের মত রাজার জন্য শরাব পরিবেশন করে এবং খোলা তরবারি নিয়ে তার সাথে নাচে। নাচের এক পর্যায়ে এসে তরবারি দিয়ে আত্মহত্যা করে, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সে রাজার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে।
মুভির আবহ সঙ্গীত, অপেরার দৃশ্য, বলতে সমগ্র মুভির চিত্রায়ন খুবই কালারফুল, চমৎকার কস্টিউম ডিজাইন। চিনের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি, সঙ্গীত, নাটক, রাজনীতি নিয়ে বিশাল ক্যানভাসে নির্মিত এ মুভি সংস্কৃতি মনস্ক যে কারোই ভাল লাগবে।
পরিচালকঃ Chen Kaige
নির্মানকালঃ ১৯৯৩
আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.১
রটেন টম্যাটোজঃ ৮৮%
প্রায় তিনঘন্টা দৈর্ঘ্যের এ মুভির কাহিনী বিংশ শতাব্দীর একটা বিশাল অংশ জুড়ে বিস্তৃত। মুভিটি একই শিরোনামের উপন্যাসের চিত্ররূপ। কাহিনীর শুরু ১৯২৪ সাল থেকে, এবং যবনিকা হয় ১৯৭৭ সালে। যার ফলে এতে চিনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের বড় বড় সব উত্থান-পতন উঠে এসেছে। সামন্ত যুগ থেকে শুরু করে চিন-জাপান যুদ্ধ, বিপ্লব, বিপ্লব পরবর্তী সাংস্কৃতিক সংস্কার সব। মুভির কেন্দ্র বিন্দুতে সংস্কৃতি থাকায় বিভিন্ন যুগে পরিবর্তনের ব্যাপারটা ফু্টিয়ে তোলা গেছে।
মুভির মূল ভূমিকায় পিকিং অপেরার দুজন কুশীলব, শিতু এবং দুজি। ঐতিহাসিক নানা উত্থান-পতনের সময়ে তাদের জীবনকে ঘিরে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। নানা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে তারা কীভাবে এ সময়গুলো পার করেছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে তাদের অভিনয় এবং ব্যক্তিজীবনের সুখ-দুঃখ মুভির মূল উপজীব্য।
মুভির কাহিনীতে যাবো না, কিন্তু শিতু এবং দুজি দুজনে যে অপেরায় অভিনয় করে সমগ্র চিনে বিখ্যাত হন, সংক্ষেপে সেটা বলছি। অপেরার নাম ‘ফেয়ারওয়েল মাই কংকুবাইন’, এটি চু আর হ্যান রাজবংশের লড়াইয়ের কাহিনী। চু রাজা ছিলেন বীরপুরুষ, অনেক লড়াইয়ে জিতেছেন।কিন্তু গেইশিয়া’র যুদ্ধে ভাগ্য তার সহায় ছিল না। হ্যান রাজা তাকে কৌশলে পরাজিত করে। যুদ্ধের শুরুতেই হ্যান সৈন্যরা বিজয়ের গান গাওয়া শুরু করে। এতে চু রাজার অনুসারী সামন্তেরা ভাবেন চিনের বাকি অংশ মনে হয় ইতোমধ্যে পরাজিত হয়ে গেছে। তাই তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান। রাজার সাথে থাকে তার একমাত্র ঘোড়া এবং তার একান্ত সহচরী রক্ষিতা। শিতু হ্যান রাজা আর দুজি (পুরুষ) তার রক্ষিতার ভূমিকায় অভিনয় করে। রাজা তাকে চলে যেতে বলে, কিন্তু রক্ষিতা তাকে ছেড়ে যেতে চায় না। এদিকে সময় বুঝে তার ঘোড়াটাও নড়তে চায় না। “No matter how resourceful you are you cannot fight fate.
রাজরক্ষিতা শেষবারের মত রাজার জন্য শরাব পরিবেশন করে এবং খোলা তরবারি নিয়ে তার সাথে নাচে। নাচের এক পর্যায়ে এসে তরবারি দিয়ে আত্মহত্যা করে, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সে রাজার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে।
মুভির আবহ সঙ্গীত, অপেরার দৃশ্য, বলতে সমগ্র মুভির চিত্রায়ন খুবই কালারফুল, চমৎকার কস্টিউম ডিজাইন। চিনের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি, সঙ্গীত, নাটক, রাজনীতি নিয়ে বিশাল ক্যানভাসে নির্মিত এ মুভি সংস্কৃতি মনস্ক যে কারোই ভাল লাগবে।
পরিচালকঃ Chen Kaige
নির্মানকালঃ ১৯৯৩
আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.১
রটেন টম্যাটোজঃ ৮৮%
No comments