Spider-Man: Homecoming (2017) Movie Review In Bangla
Spider-Man: Homecoming (2017)
Director:
Jon Watts
Spiderman Homecoming
অবশেষে দেখে ফেললাম আমার অলটাইম ফেভারিট সুপারহিরো স্পাইডারম্যানের নতুন মুভি। পিটার পার্কারের হাইস্কুল লাইফ আর অ্যাভেঞ্জারদের একজন হওয়ার ইচ্ছা পূরণ করার কাহিনী। খুব বেশী ঘটনা না ঘটলেও পুরো মুভিই ছিল ফার্স্ট পেসড। আর দেখে এত মজা পেয়েছি যে স্ক্রিনটাইম ১৩৩ মিনিটের জায়গায় আরো বেশি হলেও সমস্যা ছিলোনা। মজার ব্যাপার কিছু জায়গায় Kickass, The lego batman movie আবার কিছু জায়গায় Ferris Bueller's day off এর কথা মনে করিয়ে দেয়। কুডোস টু রাইটারস, তারা স্পাইডিকে নিয়ে এমন এক্সপেরিমেন্টের সাহস দেখিয়েছেন।
কিছু সিরিয়াস মোমেন্ট বাদ দিলে এটা মার্ভেলের সবচেয়ে ফানিয়েস্ট মুভি। Captain America: Civil war এ অল্প কিছুক্ষণের স্ক্রিনটাইম পেয়েও টম হল্যান্ডের স্পাইডারম্যান সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলো। মার্ভেল কথা দিয়েছিলো এইবারে কোন রিপিটেটিভ স্টোরিলাইন থাকবেনা, তাই পিটার পার্কারের হাইস্কুলের চিরশত্রু ফ্ল্যাশ থম্পসন আর হাইস্কুল ক্রাশের কাহিনী গেছে কিছুটা পালটে।
স্পাইডারম্যানের অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো (সাথে সেইরকম ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর) এয়ারপোর্ট সিনের চাইতে কোন অংশে কম যায়না, আর 3D তে দেখা চোখের জন্য একটা ট্রিট 😍। হাইরাইজ বিল্ডিং এর অ্যাকশন সিন ত কমন, তাই এইবার বিল্ডিং নেই এমন রাস্তাগুলোয় স্পাইডির ছোটাছুটি দেখতে দারুণ লেগেছে! আর অভিনয়ে টম হল্যান্ড আর রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের পাশাপাশি সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে পিটারের বেস্ট ফ্রেন্ড নেডের চরিত্রে (Can you summon spiders? 😂)। জেনডায়ার ক্যারেক্টার ছোট হলেও মজার ছিলো, মনে হয় সিক্যুয়েলে আরো বেশি মুখ্য ভূমিকা থাকবে।
১৫ বছরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ বার পিটার পার্কারের স্পাইডারম্যান হওয়ার কাহিনী দেখানো হয়ে গেছে। এইবারে তাই রেডিওঅ্যাক্টিভ মাকড়সার কামড় খাওয়া, নিজের নতুন সুপারপাওয়ার পরখ করে দেখা কিংবা আংকেল বেনের মারা যাওয়া এইসব কাহিনী স্কিপ করে মুভি সরাসরি শুরু হয় Civil war এর সময় থেকে। তাই স্যাম রাইমির Spiderman 1 এর সাথে তুলনায় যাওয়াটা একেবারেই ভুল হবে। তবে একটা অ্যাকশন সিনে নতুন স্পাইডারম্যানের ব্যাকফ্লিপ দেখে আগের টার কথা মনে পড়ে গেলো। পুরো মুভিতেই অনেক ইস্টার এগ ছিলো, তবে আমার কাছে একটা মজার ব্যাপার লেগেছে স্পাইডার স্যুটের ইন্টেলিজেন্সের ভয়েস হিসেবে জেনিফার কোনেলিকে নেওয়াটা ( ইনি প্রথম হাল্ক মুভির নায়িকা, আবার আয়রন ম্যানের জারভিসের ভয়েস দেওয়া পল বেটানির স্ত্রী)।
অনেকেই মুভির শুরুতে দেখানো "8 years later" কথাটাকে প্লটহোল মনে করেছেন, আসলে ঘটনা কিন্তু তা না। আমরা ২০১২ সালে The Avengers মুভি হাতে পেলেও আসলে মেইন ঘটনা কিন্তু ঘটেছে ২০০৯ সালে। এখন যদি Marvel's Luke Cage সিরিজে নিউজপেপার আর্টিকেলে ২০১২ লেখা থাকে, তবে সেটা সেই সিরিজের প্লটহোল।
যেকোন ভালো সুপারহিরো ম্যভির জন্য লাগে একটা ভালো ভিলেন, সেখানে অ্যাড্রিয়েন টুমসের রোলে মাইকেল কিটন ছাড়া অন্য কাউকে চিন্তাই করা যাচ্ছেনা। ব্যাটম্যানের ইস্টার এগ আছে বলেও মনে হলো। ( সাইড নোট: আমি মাইকেল কিটনের ২টা ব্যাটম্যান মুভিরই বিশাল ফ্যান, আর আমার কাছে সে ব্রুস ওয়েন হিসাবে ক্রিশ্চিয়ান বেল থেকেও পারফেক্ট)। অনেকদিন মাইকেল কিটন লাইমলাইটের বাইরে থাকলেও সম্প্রতি পরপর ২ বছরের ২ বেস্ট পিকচার অস্কার উইনার Birdman আর Spotlight এ অভিনয় করে ভালোভাবেই ফিরে এসেছেন।
দেখার সময় অবশ্য বারবার Birdman এর কথাই মনে পড়ছিলো। মনে হচ্ছে কিটন যেন হল্যান্ডকে বলছে, যতদিন হিরো আছো উপভোগ করে নাও। Birdman এর এক জায়গায় আয়রন ম্যানের ওপর যেন কিটনের সত্যিকারের রাগ ফুটে বের হচ্ছিলো, এখানেও অনেকটা সেরকম লাগছিলো!
কারো কাছে যদি Spiderman Homecoming কে বাচ্চাদের মুভি মনে হয়, তাহলে মনে রাখতে হবে যে টিনেজ দর্শকদেরকে টার্গেট করেই মূলত এই মুভি বানিয়েছে মার্ভেল, কারণ সামনে আসা মুভিগুলোতে পিটার পার্কারই হবে নেক্সট টনি স্টার্ক আর তখন এই বাচ্চা ফ্যানদের ওপরই নির্ভর করবে বক্স অফিস
অবশেষে দেখে ফেললাম আমার অলটাইম ফেভারিট সুপারহিরো স্পাইডারম্যানের নতুন মুভি। পিটার পার্কারের হাইস্কুল লাইফ আর অ্যাভেঞ্জারদের একজন হওয়ার ইচ্ছা পূরণ করার কাহিনী। খুব বেশী ঘটনা না ঘটলেও পুরো মুভিই ছিল ফার্স্ট পেসড। আর দেখে এত মজা পেয়েছি যে স্ক্রিনটাইম ১৩৩ মিনিটের জায়গায় আরো বেশি হলেও সমস্যা ছিলোনা। মজার ব্যাপার কিছু জায়গায় Kickass, The lego batman movie আবার কিছু জায়গায় Ferris Bueller's day off এর কথা মনে করিয়ে দেয়। কুডোস টু রাইটারস, তারা স্পাইডিকে নিয়ে এমন এক্সপেরিমেন্টের সাহস দেখিয়েছেন।
কিছু সিরিয়াস মোমেন্ট বাদ দিলে এটা মার্ভেলের সবচেয়ে ফানিয়েস্ট মুভি। Captain America: Civil war এ অল্প কিছুক্ষণের স্ক্রিনটাইম পেয়েও টম হল্যান্ডের স্পাইডারম্যান সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলো। মার্ভেল কথা দিয়েছিলো এইবারে কোন রিপিটেটিভ স্টোরিলাইন থাকবেনা, তাই পিটার পার্কারের হাইস্কুলের চিরশত্রু ফ্ল্যাশ থম্পসন আর হাইস্কুল ক্রাশের কাহিনী গেছে কিছুটা পালটে।
স্পাইডারম্যানের অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো (সাথে সেইরকম ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর) এয়ারপোর্ট সিনের চাইতে কোন অংশে কম যায়না, আর 3D তে দেখা চোখের জন্য একটা ট্রিট 😍। হাইরাইজ বিল্ডিং এর অ্যাকশন সিন ত কমন, তাই এইবার বিল্ডিং নেই এমন রাস্তাগুলোয় স্পাইডির ছোটাছুটি দেখতে দারুণ লেগেছে! আর অভিনয়ে টম হল্যান্ড আর রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের পাশাপাশি সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে পিটারের বেস্ট ফ্রেন্ড নেডের চরিত্রে (Can you summon spiders? 😂)। জেনডায়ার ক্যারেক্টার ছোট হলেও মজার ছিলো, মনে হয় সিক্যুয়েলে আরো বেশি মুখ্য ভূমিকা থাকবে।
১৫ বছরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ বার পিটার পার্কারের স্পাইডারম্যান হওয়ার কাহিনী দেখানো হয়ে গেছে। এইবারে তাই রেডিওঅ্যাক্টিভ মাকড়সার কামড় খাওয়া, নিজের নতুন সুপারপাওয়ার পরখ করে দেখা কিংবা আংকেল বেনের মারা যাওয়া এইসব কাহিনী স্কিপ করে মুভি সরাসরি শুরু হয় Civil war এর সময় থেকে। তাই স্যাম রাইমির Spiderman 1 এর সাথে তুলনায় যাওয়াটা একেবারেই ভুল হবে। তবে একটা অ্যাকশন সিনে নতুন স্পাইডারম্যানের ব্যাকফ্লিপ দেখে আগের টার কথা মনে পড়ে গেলো। পুরো মুভিতেই অনেক ইস্টার এগ ছিলো, তবে আমার কাছে একটা মজার ব্যাপার লেগেছে স্পাইডার স্যুটের ইন্টেলিজেন্সের ভয়েস হিসেবে জেনিফার কোনেলিকে নেওয়াটা ( ইনি প্রথম হাল্ক মুভির নায়িকা, আবার আয়রন ম্যানের জারভিসের ভয়েস দেওয়া পল বেটানির স্ত্রী)।
অনেকেই মুভির শুরুতে দেখানো "8 years later" কথাটাকে প্লটহোল মনে করেছেন, আসলে ঘটনা কিন্তু তা না। আমরা ২০১২ সালে The Avengers মুভি হাতে পেলেও আসলে মেইন ঘটনা কিন্তু ঘটেছে ২০০৯ সালে। এখন যদি Marvel's Luke Cage সিরিজে নিউজপেপার আর্টিকেলে ২০১২ লেখা থাকে, তবে সেটা সেই সিরিজের প্লটহোল।
যেকোন ভালো সুপারহিরো ম্যভির জন্য লাগে একটা ভালো ভিলেন, সেখানে অ্যাড্রিয়েন টুমসের রোলে মাইকেল কিটন ছাড়া অন্য কাউকে চিন্তাই করা যাচ্ছেনা। ব্যাটম্যানের ইস্টার এগ আছে বলেও মনে হলো। ( সাইড নোট: আমি মাইকেল কিটনের ২টা ব্যাটম্যান মুভিরই বিশাল ফ্যান, আর আমার কাছে সে ব্রুস ওয়েন হিসাবে ক্রিশ্চিয়ান বেল থেকেও পারফেক্ট)। অনেকদিন মাইকেল কিটন লাইমলাইটের বাইরে থাকলেও সম্প্রতি পরপর ২ বছরের ২ বেস্ট পিকচার অস্কার উইনার Birdman আর Spotlight এ অভিনয় করে ভালোভাবেই ফিরে এসেছেন।
দেখার সময় অবশ্য বারবার Birdman এর কথাই মনে পড়ছিলো। মনে হচ্ছে কিটন যেন হল্যান্ডকে বলছে, যতদিন হিরো আছো উপভোগ করে নাও। Birdman এর এক জায়গায় আয়রন ম্যানের ওপর যেন কিটনের সত্যিকারের রাগ ফুটে বের হচ্ছিলো, এখানেও অনেকটা সেরকম লাগছিলো!
কারো কাছে যদি Spiderman Homecoming কে বাচ্চাদের মুভি মনে হয়, তাহলে মনে রাখতে হবে যে টিনেজ দর্শকদেরকে টার্গেট করেই মূলত এই মুভি বানিয়েছে মার্ভেল, কারণ সামনে আসা মুভিগুলোতে পিটার পার্কারই হবে নেক্সট টনি স্টার্ক আর তখন এই বাচ্চা ফ্যানদের ওপরই নির্ভর করবে বক্স অফিস
No comments