‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’: The Innocence (বাংলাদেশে নির্মিত হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র)
বাংলাদেশে নির্মিত হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা আশরাফ শিশির নির্মিত চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ২১ ঘন্টা।
শেষ হলো মুক্তদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’-এর নির্মাণকাজ। বিগত ৮ বছরে ১৭৬ দিন পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদী ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজের আশেপাশের গ্রামে এই ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন প্রায় ৪ হাজার শিল্পী ও কলাকুশলী। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
‘শিল্পকে কোনো গৎবাঁধা দৈর্ঘ্যে বা পরিমাপে আটকে রাখা যাবে না’, সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সত্যকাহিনি অবলম্বনে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’-এর দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ২১ ঘন্টা, তাই এটিকে মুক্তদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র হিসাবে দাবি করেছেন পরিচালক।
সব ঠিকঠাক থাকলে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’ হবে বিশ্ব-চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এ যাবতকালে নির্মিত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্র, উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর ইতিহাসে এ যাবতকালে সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্রের নাম ‘রেজান’। ১৯৮৭ সালে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১৪ঘন্টা ৩৩ মিনিট।
সম্পূর্ণ সাদাকালোয় নির্মিত ছবিটির কাহিনি মূলতঃ গড়ে উঠেছে এমন এক জনপদকে ঘিরে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ।সেখানে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে কয়েকজন নিষ্পাপ মানুষ সিনেমা নিয়েই বিপ্লব করতে চায় । তাদের স্বপ্ন ও অবশেষে সেই স্বপ্নভঙ্গের গল্প ।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা আশরাফ শিশির বলেন, “৩য় বিশ্বের ছোট্ট দেশে ছোট্ট শহরে আমাদের যে জীবন, তা ভীষণ সাদাকালো। আমরা যে স্বপ্নটুকু দেখি তা কিছুটা রঙিন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ মূলতঃ নিষ্পাপ, শুধুমাত্র পরিস্থিতি- পারিপার্শ্বিকতার কারণে তারা অনেক অন্যায় করতে বাধ্য হয়। সিনেমা বানানোর বিপ্লবের পাশাপাশি এখানে এমন এক নিষ্পাপ মানুষের গল্প রয়েছে, যে জীবনে একটি পিঁপড়াকেও হত্যা করেনি, অথচ ছবির শেষে সে একটা আস্ত মানুষকে খুন করে ফেলে এমন এক নারীর জন্য যাকে সে কোনোদিনও দেখেনি।”
নির্মাতা জানান, দেশের বড়পর্দায় ৮ভাগে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। অন্যদিকে, বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটিই উপস্থাপন করা হবে।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, সুমনা সোমা, স্বাধীন খসরু, মাসুম আজিজ, প্রাণ রায়, তেরেসা চৈতি, আয়শা মুক্তি, এলিনা শাম্মী, অরণ্য রানা, দুখু সুমন, জান্নাত সোমা, ইমরান, শরণ, সৈকত সিদ্দিকী, কাবেরী রায়চৌধুরী, ইয়াসিন, টিটো, সানসি, অর্ণব, লিজা,মানিক,সজীব, সুজয়, উজ্জ্বল, সাদ্দাম, তূর্য, মাঈশা, মিমো, সুপ্ত, বিশাল, মিন্টু, মানিক, লিটন, শুভ, অলক, ভাস্কর, আজাদ, নুপুর সহ চার হাজার শিল্পী। সংগীত পরিচালনা করেছেন রাফায়েত নেওয়াজ ও সম্পাদনা করেছেন সাব্বীর মাহমুদ।
আশরাফ শিশিরের প্রথম চলচ্চিত্র ‘গাড়িওয়ালা’ শতাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয় এবং জাতীয় পুরস্কারসহ ২৭টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। তার ২য় চলচ্চিত্র ‘গোপন’ গতবছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘দিল্লী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে। নির্মাতা জানিয়েছেন চলতি বছরেই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
শেষ হলো মুক্তদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’-এর নির্মাণকাজ। বিগত ৮ বছরে ১৭৬ দিন পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদী ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজের আশেপাশের গ্রামে এই ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন প্রায় ৪ হাজার শিল্পী ও কলাকুশলী। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
‘শিল্পকে কোনো গৎবাঁধা দৈর্ঘ্যে বা পরিমাপে আটকে রাখা যাবে না’, সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সত্যকাহিনি অবলম্বনে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’-এর দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ২১ ঘন্টা, তাই এটিকে মুক্তদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র হিসাবে দাবি করেছেন পরিচালক।
সব ঠিকঠাক থাকলে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’ হবে বিশ্ব-চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এ যাবতকালে নির্মিত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্র, উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর ইতিহাসে এ যাবতকালে সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্রের নাম ‘রেজান’। ১৯৮৭ সালে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১৪ঘন্টা ৩৩ মিনিট।
সম্পূর্ণ সাদাকালোয় নির্মিত ছবিটির কাহিনি মূলতঃ গড়ে উঠেছে এমন এক জনপদকে ঘিরে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ।সেখানে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে কয়েকজন নিষ্পাপ মানুষ সিনেমা নিয়েই বিপ্লব করতে চায় । তাদের স্বপ্ন ও অবশেষে সেই স্বপ্নভঙ্গের গল্প ।
আমরা একটা সিনেমা বানাবো চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে রাইসুল ইসলাম আসাদ |
No comments